মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

বাগআঁচড়া জোহরা ক্লিনিকে রোগীদের ভীড়

বাগআঁচড়া প্রতিনিধি: কঠোর বিধিনিষেধেও থামানো যাচ্ছে না করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিনই বাড়ছে মরদেহের মিছিল। মহল্লায় মহল্লায় চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন পরিবারের অন্যরা। আতঙ্কে দিন কাটছে যশোরবাসীর।

শহর থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে। তাই করোনার চিকিৎসা ব্যবস্থাড চালু করতে হবে মফস্বল শহরে। না হলে মৃত্যু হার বেড়ে যাবে। মফস্বল ক্লিনিক গুলিতে ভালো মানের চিকিৎসক ও করোনা চিকিৎসা সম্পর্কে ধারনা না থাকায় অনেক রোগী অকালে প্রান হারাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ১৩ জন রোগী অজ্ঞতার কারনে প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ। ক্লিনিক গুলিতে এখন সিজেনিয়াল রোগী বেশী। তাই চিকিৎসা দিতেও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। সর্দি, কাশি, জ্বর মাথা ব্যাথা নিয়ে রোগীরা হাজির হচ্ছে ক্লিনিকে। অন্যান্য উপস্বর্গ তো আছেই।

বাগআঁচড়া জোহরা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তার ক্লিনিকে রোগী আসলে তাদের করোনা টেষ্ট দেয়া হয় প্রথমে। পরবর্তীতে রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এখানে বিচক্ষনতার সাথে খুব যত্ন সহকারে রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা এখানে নিয়মিত রোগী দেখছে।

তিনি আরো বলেন, তার ক্লিনিকে তিনি করোনা পজেটিভ রোগীদের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করবেন। অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করলে বাগআঁচড়াতে গ্রামাঞ্চলের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া খুব সহজ হবে।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোরে করোনা সংক্রমন বেড়ে চলেছে। সংক্রমন রোধে আমরা প্রশাসনের সহায়তায় প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি। তবে গ্রাম পর্যায়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রনে আনতে একটু সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা থেকে মুক্ত হতে পারবো আশা করছি।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, যশোরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও বিজিবি সদস্যরাও রয়েছেন।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: