শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

আল্লাহর অশেষ রহমতে ৪ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন মাহির

কোরআনে কারিমের তেলাওয়াত মুমিনের হৃদয় আলোকিত করে। কোরআন তেলাওয়াত করলে জান্নাত ও জাহান্নামের চিত্র চোখের সামনে ভেসে ওঠে, কোরআন তেলাওয়াতে অশান্ত হৃদয়ে প্রশান্তি মিলে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মাত্র চার মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন ১১ বছরের শিশু মাহির হাসান।

সে উপজেলার আহমদাবাদ মাদ্রাসার ছাত্র। তার সঙ্গে একই মাদ্রাসার আরেক ছাত্র শাফায়াত আহমেদ (১২) সাত মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন। তাদের এই কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে খুশি পরিবার ও শিক্ষকরা। জানা গেছে, ছেলেকে কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখছিলেন শিশু মাহির হাসানের বাবা জহির উদ্দিন। সেই স্বপ্ন থেকে কয়েকমাস আগে কুলাউড়া শহরের আহমদাবাদ মাদ্রাসায় ছেলেকে ভর্তি করেন তিনি। শুরুতেই পবিত্র

কোরআন মাহির খুব সহজভাবে ধারণ করতে পারছিল। তাই শিক্ষকরা মাহিরসহ মাদ্রাসার অপর ছাত্র শাফায়াতকে বিশেষভাবে তত্ত্বাবধান করেন। তাই দুইজনই খুব দ্রততম সময়ের মধ্যে হিফজ সম্পন্ন করেন।
মাহির উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। মাহিরের বাবা জহির উদ্দিন জানান, একজনমুসলমান হিসেবে আমাদের কোরআন পড়া উচিত, কোরআন বুঝা উচিত, কোরআনের বিধানমতে জীবন পরিচালনা উচিত। সে জন্যই আমি আমার ছেলেকে কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলার ইচ্ছা পোষণ করি। অবশেষে মাত্র চার মাসের মধ্যেই সে একজন কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে উঠেছে। এটা আল্লাহর একটি

বিশেষ নেয়ামত। আহমদাবাদ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুর রহমান ইমরান জানান, পৃথিবীর একমাত্র গ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরীফ, যা পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ বুকে ধারণ করে থাকে। হাজার হাজার শব্দ আর শত শত পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ সকলে মুখস্থ করতে পারে না, আর পারলেও ৪ থেকে ৫ বছর তো লাগবেই।

আলহামদুলিল্লাহ, মাত্র চার মাসে মাহির ও সাত মাসে শাফায়াত পুরো কোরআন শরীফ মুখস্ত করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও জানান, গত ৭ জানুয়ারি মাহির হিফজ শুরু করে। ১৪ এপ্রিল সে হিফজ শেষ করেছে। আর শাফায়াত হিফজ শুরু করে গত বছরের ১৬ অক্টোবর। তার হিফজ শেষ হয়েছে ১৪ এপ্রিল।

মাহির ও শাফায়াতের ঐকান্তিক ইচ্ছা, শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং তাদের পরিবারের সহযোগিতায় আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে খুব শৈশবেই এই মহাপুরস্কারে ভূষিত করেছেন।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: