পি কে হালদারকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু
পুলিশ হেফাজত থেকে সাত জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হল বাংলাদেশের ১১ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক প্রতারক পি কে হালদারকে। কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে পি কে হালদারের। সাত জুন তাকে আবার আদালতে পেশ করা হবে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী পি কে হালদারকে দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সমস্যা একটাই, শিবশঙ্কর হালদার ছদ্ম নাম নিয়ে উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোক নগরে বসবাসকারী পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ভারতের ল অফ দ্য ল্যান্ড অনুযায়ী বেশ কিছু মামলা ধার্য আছে। সেগুলির নিস্পত্তি হওয়ার আগে পি কে হালদারকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা আছে।
ইতিমধ্যে, ই ডির গোয়েন্দারা ৪০ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন, যারা পি কে হালদারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। এর মধ্যে কয়েকজন রাজনৈতিক প্রভাবশালীও আছেন। ভারত থেকে বেআইনি ভাবে ৮০ কোটি টাকা কানাডায় এবং ৪২৬ কোটি টাকা বাংলাদেশে পাচার করেছিলেন পি কে হালদার। ই ডির তদন্তে নাকি এই কথাও উঠে এসেছে। বাংলাদেশের হাইকোর্ট ১২ জুন পি কে হালদার সম্পর্কে তাদের রায় দেবে।
এর আগে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং কাজী মোহাম্মদ এজজুল হক ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর ব্যাংক জালিয়াত পি কে হালদার সম্পর্কে একটা রুলিং দিয়েছিলেন। পি কে হালদারকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরানোর ব্যাপারে হাইকোর্ট কি আদেশ দেয়, সেটিই এখন দেখার।
Comments are Closed