বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা যোগদানে পাল্টে গেছে কলারোয়া উপজেলার চিত্র

ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা যোগদানে পাল্টে গেছে কলারোয়া উপজেলার চিত্র

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  কলারোয়া থানায় ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা যোগদানের পরই পাল্টে যায় উপজেলার চিত্র। পুলিশ শাসক নয়, শোষক নয়, পুলিশ জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো কলারোয়া থানা পুলিশের সকল সদস্য। তাই হ্রাস পেয়েছে পুলিশ কর্তৃক মানুষের হয়রানি। ন্যায় বিচারের মূলে পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং সততা। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে দেশের অন্যতম এ পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তি। একমাত্র এ বাহিনীটিকেই জনসাধারণের সংস্পর্শে যেতে হয়, পেশাদারিত্বের স্বার্থে। তাই অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বা অকারণে লোভ ও লালসার বশবর্তী হয়ে পড়েন কিছু সদস্য। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই সাহসীক উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা। সকল শক্তি অপশক্তিকে উপেক্ষা করে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবলদের প্রতিশ্রæতি পূরণে প্রেরণাদীপ্ত পারঙ্গমতা প্রদর্শনে সফল হয়েছেন তিনি। ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা থানায় যোগদানের পর থেকেই তাঁর কাজের সাফল্য ধারাবাহিকতা-কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে কলারোয়ার ইতিহাসে। কলারোয়ায় থানায় যোগদানের পর এ পর্যন্ত তিনি খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি ও কলারোয়া থানা শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়ে ক্রেষ্ট ও সনদ পত্র লাভ করেছেন। তিনি মাসিক অপরাধ সভায় সার্বিক, (আইন শৃংখলা, মাদক, চোরাচালান, নারী-শিশু নির্যাতন রোধ, বাল্য বিবাহ, মানব পাচার) বিষয় পর্যালোচনা শেষে এ পুরুস্কারে ভূষিত হন। তিনি খুলনা বিভাগে মধ্যে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়ে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র পেয়ে খুলনা বিভাগীয় পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি সাধারাণ মানুষের পাশাপাশি জয় করে নিয়েছেন অভিভাবক মহলেরও মন। কলারোয়া থানার সকল এলাকার যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। ওসি নাছির উদ্দীন মৃধার দক্ষতায় প্রায়ই উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য এবং আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী। কলারোয়া থানায় নাছির উদ্দীন মৃধা যোগদানের পর পাল্টে যেতে শুরু করেছে পুলিশের বেশ কিছু চিত্র, পরিবর্তন আসে সকল ক্ষেত্রে। তাঁর দক্ষ তদারকিতে পেশাদারিত্ব আসে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের মাঝেও। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ-অপবাদ লাঘবে থানার ওসি নাছির উদ্দীন মৃধার বিচক্ষণতা অনেকাংশেই প্রসংশার দাবি রাখে। ওসি হিসেবে যোগদানের পর ইতোমধ্যেই সঠিক নিয়মের মধ্য জনগণের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমিকায় তিনি চেষ্টা সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া সাধারণ জনতার মাঝে দীর্ঘ দিনের যে সংশয় ছিল, ‘ভয়, পুলিশ সহযোগীতার কাজে টাকা লাগে এ সংশয়ও তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন চিরতরে। ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা যোগদানের পর থানায় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের, কমে গেছে অকারণে জিডির প্রবণতা। সাধারণ মানুষের ভয় কেটেছে পুলিশের প্রতি। সেবা প্রাপ্তির লক্ষে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে এখন মানুষ। নাছির উদ্দীন মৃধা থানার কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তদারকিসহ অফিসারদের কাজে দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন। এতে পুলিশি হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষের অনেকটাই মুক্তি মিলেছে। পুলিশের প্রতি নির্ভরশীলতার অভাবে অনেক মানুষেরই ছোটখাটো কোনো বিষয় নিয়ে পুলিশের কাছে যেতে অনিহা ছিল। অনেকে নিরবে-নিবৃত্তে প্রভাবশালীদের ছোটখাটো জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। এতে অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা ছাড়িয়েছিল। এসব সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা তার অফিস কক্ষে নিয়মিত সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে থাকেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ায় অপরাধীদের উৎসাহে অনেকটাই ভাটা পড়েছে এখন। তাঁর এ উদ্যোগ চলৎ থাকলে পুলিশের হারানো ভাবমূর্তি যেমন ফিরে আসবে, তেমনি মানুষের জীবনেও সুখের সুবাতাস বইবে। সবকিছু মিলিয়ে কলারোয়া থানায় যোগদানের পর থেকে ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা সাধারণ মানুষের কাছে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশ শোষক নয়, জনগণের বন্ধু।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: