শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

সান্তাহারে বুট ডাইলের পিঠা বিক্রি করে স্বাবলম্বী তপু

                                      সান্তাহারে বুট ডাইলের পিঠা বিক্রি করে স্বাবলম্বী তপু

মিরু হাসান বাপ্পী বগুড়া জেলা সংবাদদাতা ১১ অগাস্ট ২০২২খ্রিঃ

পিঠা বিক্রেতা জামিল হোসেন তপুর সংসার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে। দরিদ্রতার কারণে তেমন পড়াশুনা করতে পারেনি। ২২ বছর বয়স থেকে সান্তাহার রেললাইনের পাশেসহ বিভিন্ন স্থানে সে শীতকালিন পিঠা তৈরি করে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। শুধু শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে তেমন একটা আয় করতে পারেনি জামিল হোসেন তপু। যার ফলে সংসারের ঘানি টানাও তার জন্য ছিল কঠিন। কিন্তু দমাতে পারেনি তার মনবল। সাধনায় তার সফলতা নিয়ে আসে। এখন বুট ডাইলের পিঠা বা বড়া বিক্রি করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। সংসার নামক দানবটাকে চালাতে আর কারো কাছে তাকে হাত পাততে হয়না।

আদমদীঘি উপজেলা পোওতা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে জামিল হোসেন তপু। আদমদীঘির সান্তাহার স্বাধীনতা মঞ্চের পিছনে রেললাইনের পাশে এখন বুট ডাইলের পিঠা বা বড়া বিক্রি করছেন।

প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলে তার বেচাকেনা। মুখরোচক এই বড়া খাবার জন্য নওগাঁ, রানীনগর, তিলকপুর ও আদমদীঘিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোজনরশিক মানুষরা তার দোকানে ভীড় করেন।

বড়া বা পিঠা বিক্রেতা জামিল হোসেন তপু জানায়, প্রতিদিন সে ১০ কেজি বুট ডাইলের বড়া বা পিঠা তৈরী করে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা বিক্রি করে। এই বড়া তৈরীতে খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। শ্রমিকের বেতন, জ্বালানী, ময়দা ব্যশনসহ মোট তার ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। শুক্রবার দিন এই বুট ডাইলের পিঠা বা বড়া তার দোকানে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। এখন আর তার সংসারে কোন অভাব নেই।

৫ বছর আগে নওগাঁ জেলা শহরে একটি দোকানে বুট ডাইলের পিঠা বা বড়া তৈরীর কাজ শেখার পর সান্তাহার রেলাইনের পাশে এই বুট ডাইলের বড়া বা পিঠা তৈরী করে বিক্রি শুরু করেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এই ব্যবসার আয় থেকে তিনি বাড়ির পাশে ৪ শতক জমিও কিনেছেন। সাধনায় আসে তার সফলতা, তিনি হয়েছেন বেকার যুবকদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: