বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

দামুড়হুদাই কৃষকের স্বপ্ন যেন হয়ে গেল দুঃস্বপ্ন জয়রামপুর কুমারীদহ মাঠে ভুট্টা মরে যাওয়াই হতাশা ভুট্টা চাষী

 

দামুড়হুদাই কৃষকের স্বপ্ন যেন হয়ে গেল দুঃস্বপ্ন
জয়রামপুর কুমারীদহ মাঠে ভুট্টা মরে যাওয়াই হতাশা ভুট্টা চাষী
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনি: গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ভুট্টার চাষ অনেক বেশি। ভুট্টা বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল। অধিক লাভের আশায় চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টার চাষ বেড়েছে। ভুট্টার বীজ রোপনের সাথে সাথে কৃষক বুনেছে তার স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন যেন হয়ে যাচ্ছে দুঃস্বপ্ন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুমারীদহ মাঠে হঠাৎ ভুট্টা গাছ মারে যাচ্ছে। এতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে ভুট্টা চাষীরা।
এ বিষয়ে কুমারীদহর কৃষক ইলিয়াস হোসাইন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমার জমিতে কয়েকটি গাছ মরতে দেখা গিয়েছে। আমরা সাধারণভাবে ধারণা করি গাছগুলো উইপোকায় মেরে দিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। তারপরে দেখা যায় আমার ১৫ কাঠা জমি সম্পূর্ণ ভুট্টা ধীরে ধীরে মরে যায়। ভুট্টার এই মৌসুমে আমাদের এখানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে ভুট্টা জাতের নাম হচ্ছে হাসান ৫৫, মন্ডল,  পাইনিয়ার এর ৩৩৫৫।
তিনি আরো বলেন একই গ্রামের ইমান আলীর ১.৫ বিঘা, আব্দুস সাত্তার এর ১৫ কাঠা, মহাসিন এর ১৫ কাঠা, আরিফুল ১ বিঘা, জয়রামপুর হাজীপাড়া মুক্তির ১ বিঘা আতর আলীর ১৫ কাঠা জমির ভুট্টা মারা গেছে।এছাড়াও অনেক জনের ভুট্টা গাছ ধীরে ধীরে মরতে শুরু করেছে আনুমানিকভাবে বলা যায় ৮ থেকে ১০ বিঘা জমি এর ভুট্টা গাছ মরে গিয়েছে। এছাড়াও মাঠের অধিকাংশ জমির ভুট্টা মরতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এর সাথে কথা বলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। সাধারণত এই সমস্যা হয়েছে ছত্রাক থেকে গাছের গোড়ার শিকড় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জমিতে একই ফসল  বারবার ফালানোর কারণে জমিতে ছত্রাকের পরিমাণ আধিকমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে তা ভুট্টা গাছের সহনশীলতাযর বাইরে চলে গেছে।
আমি আরো বলেন আমি এ বিষয়ে আমার অন্যতম কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানার এবং এর সমাধানের কোন রাস্তা আছে কিনা পরবর্তীতে কৃষকদেরকে জানাবো। তাছাড়া বর্তমান যে জমিগুলোর ভুট্টা গাছ এখনো সুস্থ আছে এসব জমিতে ছত্রাক নাশক স্প্রে করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।


Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: