প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিক মেয়েকে ধর্ষণ
প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিক মেয়েকে ধর্ষণ
ডেস্ক নিউজ:- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার মেয়ে দেখে প্রথমে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট।
কেউ এই ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করলো মানেই যেন প্রতারকের খপ্পরে পড়লো।
যেই মেয়ে তার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করে সেই হয় প্রতারণার শিকার।
বলছি বহুরূপী ‘নুরনবী’র কথা। যিনি ‘Nurnobi Nur’ নামে ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দেয়। ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করলে পরে বন্ধুত্ব হয় এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে বিভিন্ন কৌশলে সম্পর্কটা ভালোবাসায় পরিনত করে নুরনবী।
এরপর ইমু/হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার আদান-প্রদান করে দু’জনেই। ভিডিও কলে প্রেমিকাদের মিট করার কথা বললে প্রেমিকা অস্বীকার করায় নিজের প্রাননাশের হুমকি দেয় প্রতারক নুরনবী।
নুরনবী এটাও বলে, “তুমি মিট করো, তোমাকে অনেক ভালোবাসি, আসো আমরা বিয়ে করবো”। প্রেমিকা রাজি হলে নিয়ে যায় বন্ধুর ফ্ল্যাটে, দিন/রাত কাটানোর পর নগ্ন ছবি তুলে বিভিন্ন কথা বলে।
পরে সেই মেয়েদের ব্লাক মেইল করে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকা নিয়েছে বিকাশের মাধ্যমে।
এরপর সকল যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ এবং কন্ট্রাক্ট নাম্বার থেকেও ব্লক করে দেয় মেয়েদেরl
এরকম প্রতারণার শিকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। বেরিয়ে আসে ভিন্ন রকম রহস্যপূর্ণ তথ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারণার শিকার একজনকে নিয়ে যাওয়া হয় পাবনার ঈশ্বরদীতে এক রিসোর্টে। দুইদিন তিন রাত থাকার পর কাঠের পুতুলের মতো ফেলে দেয় তাকে। ব্লক করে দেয় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইমু/হোয়াটসঅ্যাপ বা কন্ট্রাক্ট নাম্বার থেকেও।
আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, তাকে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় বন্ধুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় দুবার।
অন্য একজন ভুক্তভোগী বলেন, তাকে গাজীপুরের টঙ্গী এবং মিরপুর-১ নম্বরে বন্ধুর বাসায় নিয়ে রাত-দিন কাটিয়েছে একাধিকবার।
এভাবে একেক জনের কাছে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়দানকারী প্রতারক নুরনবী নিজেকে দাবী করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক, কোনো সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ইত্যাদি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়দানকারী প্রতারক নুরনবীর কাছের এক বন্ধুর থেকে জানা যায়, তার আসল বাড়ি রংপুর বিভাগের আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে।
তবে এখনো মনে হচ্ছে তার পরিচয়ে রয়েছে রহস্যময় তথ্য। নুরনবী কোনো সিরিয়াল কন্ট্রাক্ট কিলার কি-না? কোনো মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য কি-না? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে প্রতারণার শিকার মেয়েদের মনে।
আইন-প্রশাসনের কাছে ভুক্তভোগীদের একটাই দাবী- সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কালো মুখোশ পড়া নুরনবীর কু-কীর্তি জনসম্মুখে তুলে ধরা হোক এবং তাকে ফাঁসি দেওয়া হোক। যেন তাদের মতো আর কোনো নারীর সর্বনাশ করতে না পারে।
Comments are Closed