চুয়াডাঙ্গায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী
চুয়াডাঙ্গায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী
র জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা।
দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন- দামুড়হুদা বাজার পাড়ার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম তনু (৫৫), দামুড়হুদা বাজার পাড়ার মৃত জনাব আলী ছেলে মোকারম হোসেন (৬০), দামুড়হুদা দশমি পাড়ার মৃত মহিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির (৬৫), দামুড়হুদা চিৎলা গ্রামের জল্লিল মোল্লার ছেলে আব্দুল হাশেম (৬০), দামুড়হুদা দশমি পাড়ার মৃত জলিল মন্ডলের ছেলে আব্দুর রহিম (৪৫), পারদামুড়হুদা গ্রামের মৃত শাজাহান আলীর ছেলে মন্টু মিয়া (৫২), দামুড়হুদার কুতুবপুর গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আবু সাঈদ বিশ্বাস (৫০), ডুগডুগি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ইউসুফ আলী (৫৫), নতুন বাস্তপুরগ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ (৫০), ভগিরথপুর গ্রামের আয়ুব আলী ছেলে মাসুদ রানা (৫০), নতিপোতা গ্রামের মৃত মহিত উদ্দিনের ছেলে সুমন (২৮), নতিপোতা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে রফিক (৪০), চন্দ্রবাস গ্রামের মৃত মোজাম বিশ্বাসের ছেলে ওসমান গনি (৫৭), চারুলিয়া গ্রামের মৃত মৃত আশরাফ আলীর ছেলে শামসুল আলম (৬০), রামনগর গ্রামের মৃত সাব্দাল আলী মন্ডলের ছেলে ইদ্রিস আলী (৫৮), ইব্রাহিমপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রহুল আমিন (৪২)ও দেওলি গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে কুতুব উদ্দিন (৫০)। এরা সকলেই দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন জানান,মহামান্য হাইকোর্টের ক্রিমিনাল মিস-১৪৪৯৮/২০২৩ নম্বর মামলার ২০২৬ সালের (৬ মার্চ) আদেশে ছয় সপ্তাহের মধ্যে মামলার আসামিদেরকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আসামিরা চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার আসামি ও সরকার পক্ষের বক্তব্য শুনে আত্মসর্ম্পন করা সকল আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)আরও বলেন, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে দামুড়হুদার দশমি গ্রামের ফুটবল মাঠের কাছে কয়েকজন দুস্কৃতিকারি সরকার বিরোধী কাজের উদ্দেশে একত্রিত হয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। ঐদিন রাত ১০টার দিকে পুলিশ ফুটবল মাঠের কাছে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ২৫/৩০ জন সমবেত হয়েছিল।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ৭টি লাল রংয়ের কসটেপ দিয়ে মোড়ানো বোমাসদৃশ্য বস্তু ও ১৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছিল। আটক ৫ আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ২২ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনকে আসামি করে ঘটনার পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি দামুড়হুদা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ১৭ জন আসামি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্ম্পন করেন। তাদের জামিন নামঞ্জুর করে সকলকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Comments are Closed