শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

শুঁটকি উৎপাদন-সংরক্ষণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুঁটকির স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানি বাড়াতে কক্সবাজার শহর সংলগ্ন খুরুশকুলে কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘কক্সবাজার জেলায় শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন’প্রকল্পের আওতায় খরচ করা হবে ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) মাছ আহরণের পর অপচয় কমানোর লক্ষ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন শুঁটকির উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সূত্র বলছে, এ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন মানসম্পন্ন শুঁটকি উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার জন্য খুরুশকুলে স্বয়ংসম্পূর্ণ শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। অভ্যন্তরীণ বাজারে মানসম্পন্ন শুঁটকির সরবরাহ নিশ্চিত এবং মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের শুঁটকির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। পাশাপাশি চার হাজার ৬০৯ জেলে পরিবারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীনভাবে সংযুক্ত অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত নেই। তবে আশ্রয়ণ-২ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের ওপর গত ২০১৯ সালের ১৯ জুন পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত পিইসি সভার সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থ বছরের এডিপিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন অননুমোদিত প্রকল্পসমূহের উচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ‘ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য শুঁটকি মাছ ও সাপ্লাই চেইন উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির পরিবর্তে আলোচ্য প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত করে অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিকল্পনা কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে।

২৫০০ বর্গমিটার আয়তনের অবতরণ শেড নির্মাণ, ১৮৬০ বর্গমিটার আয়তনের ৪ তলাবিশিষ্ট ল্যাব, অফিস, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম ডরমেটরি নির্মাণ, ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজ (চার চেম্বারবিশিষ্ট) নির্মাণ, দুটি ওয়ে ব্রিজ এবং তিনটি পন্টুন/গ্যাংওয়ে তৈরি, ৩৫০ গ্রিন হাউজ মেকানিক্যাল ড্রায়ার এবং ৩০টি মেকানিক্যাল ড্রায়ার স্থাপন, প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি স্থাপন, ৩৬টি শুঁটকি বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, ১০টি টয়লেট জোন নির্মাণ, ইটিপি, এসটিপি ও ডাব্লিউটিপি নির্মাণ, তিনটি জেনারেটরসহ একটি বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন স্থাপন, ৩টি আর সি সি জেটি নির্মাণ ইত্যাদি এই প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: