রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

কলারোয়া পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষকের দায়েরকৃত মামলা তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত

কলারোয়া পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষকের দায়েরকৃত মামলা তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত

শেখ রাজু রায়হান কলারোয়া প্রতিনিধি।।

সাতক্ষীরার কলারোয়ার ঐতিহ্যবাহী কলারোয়া সরকারী জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব এর বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষকের দায়ের করা দুই মামলা মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলামের দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলাটি তদন্ত করেন পিবিআই এবং সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের দায়েরকৃত শ্লীলতাহানি মামলাটি তদন্ত করেন কলারোয়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) আক্তার হোসেন। তারা সম্প্রতি বিজ্ঞ আদালতে মামলা দুইটি মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব ও আদালতে দাখিনকৃত দুই প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের বিগত ২৩ ফেব্রুয়ারী কলারোয়া সরকারী জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুর রকীব, সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান ও মাহফুজা খাতুন ঐক্যবন্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে ওই তিন শিক্ষককে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন। যার মামলা নং জিআর ৭০/২০২১।
মামলাটি প্রাথমিক তদন্তে স্বাক্ষী প্রমানে সত্যতা পাওয়ায় ওই তিন শিক্ষককে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে চাজশীট দিয়েছেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের দায়ের করা ওই মামলাটি ভিন্ন খ্যাতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২নং আসামী শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে চাঁদাবাজি ও অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার নং সিআর ৬৪ (কলা) ২০২১। অভিযোগটি বিজ্ঞ বিচারক আমলে নিয়ে পিবিআই এর উপর তদন্ত দেন। কিন্তু পিবিআই’র তদন্তে বিবাদীর অপরাধ প্রমানিত হয়নি। এমনকি বাদি অভিযোগের স্বপক্ষে কোন স্বাক্ষী বা প্রমান হাজির করতে সক্ষম হয়নি বলে পিবিআই বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
অপরদিকে ওই সময় একই উদ্দেশ্যে সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও মারপিটের অভিযোগে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে। যার নং সিআর/৫৯ (কলা) ২০২১। অভিযোগটি বিজ্ঞ বিচারক আমলে নিয়ে তদন্ত দেন কলারোয়া সহকারী কমিশনার ( ভুমি) আক্তার হোসেনের উপর। পরে তিনি অভিযোগটির অধিকতর স্বাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করেন। কিন্তু বাদির দায়েরকৃত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত ৩২৩,৩৫৪ ও ৫০৬(২য় অংশ) ধারার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়নি মর্মে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন সহকারী কমিশনার আক্তার হোসেন।
তাই প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব তার বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষা এবং বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: