মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকার টিকেট

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকার টিকেট

স্টাফ রিপোর্টার,কলারোয়া(সাতক্ষীরা):- সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে।
তবে,ইতোমধ্যেই সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে বাজতে শুরু করেছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল। এলাকা
ঘিরে দেওয়ালে সাটানো হচ্ছে সম্ভাব্য এবং ইচ্ছুক প্রার্থীর ঈদের শুভেচ্ছা সম্বলিত লিফলেট,পোস্টার। দ্বাদশ
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় অংশ নিতে কে পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আ.লীগ দলের নৌকা প্রতিক।

মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব না থাকায় আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে বলে সংশ্লিষ্ঠজনেরা
মনে করেন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা-১(তালা+কলারোয়া)
আসনে ক্ষমতাসীন আ.লীগ দলের পক্ষ হয়ে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য এবং ইচ্ছুক প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর নাম প্রচারিত
হচ্ছে,এদের মধ্যে কে পাচ্ছেন "নৌকা" প্রতীক? তবে, পর্যবেক্ষণ যাদের নামের তালিকা পাওয়া গেছে তারা
হলেন-
১। মোঃ আমিনুল ইসলাম লাল্টু,কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি ঐ উপজেলা
পরিষদে পর পর দুইবার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন
(অধিষ্ঠিত ছিলেন- কলারোয়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি,কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ
সম্পাদক এবং সভাপতি পদে,কলারোয়া যুবলীগ সভাপতি এবং সবশেষে কলারোয়া থানা আ.লীগ সাধারণ
সম্পাদক হিসেবে)। গেল করোনাকালীন সময় তিনি তালা+কলারোয়া এলাকায় অসহায় এবং দু:স্থদের মাঝে
সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে ত্রাণ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিশিষ্ঠ সমাজ
সেবক হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তৃণমুল থেকে উঠে আসা জনপ্রিয় এই আ.লীগ নেতার দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে অংশ নিতে "নৌকা" প্রতীক পাওয়ার সম্ভাব্যতা রয়েছে। তার
গ্রামের বাড়ী কলারোয়া পৌরসভাধীন মুরালীকাঠি গ্রামে, বর্তমানে তিনি কলারোয়া বাজার এলাকায় বসবাস
করেন।
২। এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ(ওয়ার্কাস পার্টি), মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে ২০১৪ এবং ২০১৮
সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদরে বসবাস করছেন।
৩। শেখ নুরুল ইসলাম,সভাপতি,তালা উপজেলা আ,লীগ(২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক পেয়েও মহাজোটের
কারনে তাকে পদ থেকে সরে যেতে হয়)। তিনি পাটকেলঘাটা সদরে বসবাস করেন।
৪। সরদার মুজিব(২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন)।
তার গ্রামের বাড়ী কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজিরহাটের নাকিলা গ্রামে,বর্তমানে তিনি পরিবার সহ ঢাকায়
বসবাস করেন।

৫। ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান(২০০৮ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন, সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের প্রাক্তন
সভাপতি)।
৬। ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন,কলারোয়া উপজেলা আ.লীগ সভাপতি(কলারোয়া উপজেলা পরিষদ, সাবেক
চেয়ারম্যান)। তিনি কলারোয়া পৌরসভাধীন তুলসীডাঙ্গা গ্রামে বসবাস করেন।
৭। এ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ হোসেন(তালা উপজেলা আ.লীগের সহ:সভাপতি,ঢাকা বার কাউন্সিলের
সহ:সভাপতি)। তার গ্রামের বাড়ী পাটকেলঘাটা বাজার বলফিল্ড সংলগ্ন।
৮। আলতাফ হোসেন লাল্টু(কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেড়াগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান,তিনি
অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী  আ.লীগের সাবেক সভাপতি)।
সাতক্ষীরা-১(তালা+কলারোয়া) আসনে দ্বাদশ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্ধিতায় অংশ নিতে কে পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন
দল আ.লীগের "নৌকা" প্রতীক? তার জন্য আমাদেরকে বছর খানেক সময় অপেক্ষা করতে হবে।

উল্লেখ্য,২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মহাজোট নিরঙ্কুশভাবে
জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
এবং এককভাবে নির্বাচনে তৃতীয় স্থান লাভ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ঐ নির্বাচনে আ.লীগ
নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৫৭টি, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় ০৭টি এবং বাকীগুলো অন্যরা
পায়। সাতক্ষীরা-১ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা -২ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-৩ ডা: আ ফ ম
রুহুল হক ও সাতক্ষীরা-৪ এস এম জগলুল হায়দার। মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাকি তিনজন
আওয়ামী লীগের। প্রত্যেকে মহাজোটভুক্ত হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: