রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

লিটনের ছাদ বাগানে ৩০ ধরনের ফল

নাটোর প্রতিনিধি:
বাড়ির ছাদে ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন সিংড়ার বই ব্যবসায়ী তারেকুজ্জামান লিটন। তার দুইতলা বাড়ির ছাদে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি গাছের ডালে প্রায় ৩০ ধরনের ফল। তার এই সফলতায় ছাদ বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই।

সিংড়া পৌর শহরের পেট্রোলবাংলা মহল্লার স্থায়ী বাসিন্দা বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ইসলামিয়া লাইব্রেরির মালিক তারেকুজ্জামান লিটন। ২০১৬ সালে নিজের বাড়ির ছাদে ফলের বাগান শুরু করেন লিটন।

নাটোর, বগুড়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিনি দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০ প্রজাতির ফল গাছ সংগ্রহ করে ছাদ বাগান তৈরি করেছেন। এরপর থেকে তার নিরলস প্রচেষ্টায় ৫ বছরে বাগানে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ফল।

সরেজমিনে দেখা যায়, দার্জিলিং মাল্টা, ভেরিকেডেট মাল্টা, থাই মাল্টা, বারি-১ মাল্টা, ছিডলেস লেবু, কট লেবু, বারোমাসি আমড়া, থাই পেয়ারা, জাম্বুরা, দার্জিলিং কমলা, মিষ্টি জলপাই, মারোমাসি আম, মিয়াজাকি আম, ব্যানানা ম্যাংগো, আপেলকুর বড়ই, ছবেদা, কাঁঠাল, থাই ডালিম, ড্রাগন, ত্বীন ফল, লাল পেয়ারা, কামরাঙ্গা, মালবেরিসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির ফল রয়েছে লিটনের ছাদ বাগানে। এছাড়াও গোলাপ, মাধবীলতা, টগরসহ কয়েক ধরনের ফুল গাছও রয়েছে।

তারেকুজ্জামান লিটন বলেন, গাছ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসা থেকেই এ ছাদ বাগানের জন্ম। এখান থেকে ফরমালিনমুক্ত ফল পাওয়া যায়। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশি ও আত্মীয়দের দেয়া হয় এই বাগানের ফল। তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফল গাছ সংগ্রহ করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাগানটি আরো বড় করার ইচ্ছে আছে।

লিটনের ছাদ বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাশের ছাদে বাগান করেছে তার ভাতিজা, কলেজ পড়ুয়া নোমান। নোমান জানান, আমার চাচা ছাদ বাগানে সফলতা পেয়েছে। তার সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমিও বাগান করেছি। অবসর সময় ছাদ বাগানেই কাটাই।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা বলেন, তার ছাদ বাগানের কথা শুনেছি, কখনো যাওয়া হয়নি। এছাড়াও কেউ ছাদ বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হলে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করবো।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: