সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

কলারোয়ায় কয়েকশত বিঘা জমির সরিষার ব্যাপক ক্ষতি

কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে কয়েক শত বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার কামারালী গ্রামের কেয়ামদ্দীনের পুত্র আব্দুস সামাদ জানায়, বর্তমান বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামের অধিকাংশ কৃষক আবাদী জমিতে সরিষার চাষ করে থাকে। সংসারের বার্ষিক তেলের যোগান সরিষা থেকে দেওয়া হয়। এছাড়া মণ মণ সরিষা বিক্রয় করে কৃষকরা লাভবান হয়।

সরিষার গাছ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার হয়। ভিটামিন যুক্ত, ভেজাল মুক্ত, বোতল ভর্তি খাঁটি সরিষার তেল স্বাদে গন্ধে অতুলীয়। তাই এই তেল কৃষক পরিবারের সদস্যরা রান্না ও খাওয়ায় জন্য সংগ্রহ করে। সরিষার তেলের রয়েছে ভেষজ গুনও। এ তেল শরীরের জন্য উপকারী। গরম ভাতে সরিষার তেলের ভর্তা শরীরে শক্তি যোগায়। সরিষার তেল মালিশে শরীরের ব্যথা দুর হয়। এই তেল খাওয়ার কারণে সুর্যের তাপ প্রবল বর্ষণ, রোদ, ঝড় কৃষকের শরীরের কোন ক্ষতি করতে পারে না। এমনকি পঁচা পানির কামড় থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই সরিষার তেল ব্যবহার করেন। সরিষার তেলের রান্না মাছ, মাংস, তরিতরকারীর স্বাদ অন্য কোন তেলে খুজে পাওয়া যাবে না। সরিষার খৈল গরুর ও মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়। চাষ আবাদে জৈব সার হিসেবে জমিতে সরিষার খৈল দেওয়া হয়। মৌমাছিরা সরিষার ফুলের মধু সমগ্র করে।

সরিষা ফুলের মধু মানব দেহের জন্য উপকারী। মধু দিয়ে পিঠা তৈরী হয়। সম্প্রতি বৃষ্টিতে ফুল ঝরে গেছে। পানিতে ফল পচে গেছে। কৃষকরা জানায়, এক কাঠা জমিতে এক ট্রলি গোবর স্যার, ২কেজি ফসপেট, শিকড় পচা রোগ বালাই দমনের ঔষধ ছিটিয়ে সরিষার জমি চাষ করা হয়। কুশোডাঙ্গা চাষী মুনসুর আলী ও আছির সরদার জানায়, সরিষা চাষে বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ৪ থেকে ৫ মণ সরিষা বাজারে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় হয়। বর্ষায় ফুল ও ফল ধুয়ে গেছে। মোজাম গাজীর ৮ বিঘা, লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল মাজেদ ২বিঘা, কামারালী গ্রামের আতিয়ার রহমান ও মাহাবুব ঢালীর ৬ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে ছিলেন। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সেই স্বপ্ন ধুয়ে ঘেছে। একইভাবে পেয়াজ, রসুন ও আলুর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ফসলের ক্ষেতের দিকে তাকালেই বোবা কান্নায় চোখ ভিজে যাচ্ছে শতশত কৃষকের। সরকারি সহযোগিতা চান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: