সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

লঞ্চে আগুন: ২১ কবরে ২৩ মরদেহ

ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় নিহত যে ৩৭ জনের মরদেহ বরগুনায় পাঠানো হয়, তাদের মধ্যে ১৪ জনকে শনাক্ত করেছে পরিবার। বাকি ২৩ জনের মরদেহ ২১ কবরে দাফন করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে গণকবর দেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।

জানা যায়, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ৩৭ মরদেহ পাঠানো হয় বরগুনার উদ্দেশে। এর মধ্যে বরিশালেই চারটি মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার। পরে ৩৩টি মরদেহ আসে বরগুনায়। সেখান থেকে আরো ১০ মরদেহ শনাক্ত করে নেয় পরিবার। বাকি থাকে ২৩টি, যেগুলো শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দাফন করা হয়।

মরদেহগুলো বেশিরভাগ পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় চিনতে পারেননি স্বজনরা। তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।

বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জালাল উদ্দীনের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ৩৩টি মরদেহ বরগুনা সদর হাসপাতালে আনা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে ঝালকাঠীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিলো। আগুন লাগার পর যাত্রীরা নেভানোর চেষ্টা করেন। অনেকে ছাদে চলে যান। কেউ কেউ নদীতে লাফ দেন।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: