সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

কলারোয়ায় প্রশিক্ষণের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট!

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের দুই এনজিওর ২৩৪২ জন ভিজিডি ভাতা ভোগী সদস্যদের প্রশিক্ষণের ভাতা হিসেবে দুই বছরে ৮৫০ টাকা হারে ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল এনজিও কাগজে কলমে প্রশিক্ষণের নাম থাকলেও সরেজমিনে কোনো ভেন্যু বা কাউকে পাওয়া যায় না। এমনকি চুক্তিবদ্ধ অফিস মহিলা বিষায়ক অধিদপ্তর জানে না প্রশিক্ষণের খবর। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী চুক্তি বদ্ধ এনজিও প্রতিটি ভিজিডি ভাতা ভোগীকে ভাতা পাওয়া কালীন সময়ে ১৩ দিন সচেতনা বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষণ ও ৭ দিন রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে উন্নয়ন পরিষদ নামে একটি এনজিও অর্ন্তভূক্ত হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালে একদিনও কোন প্রশিক্ষণ কোন ইউনিয়নে প্রদান করার প্রমান পাওয়া যায়নি। কলারোয়া উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ২৩৪২ জনের ভিজিডি প্রশিক্ষণের নামের তালিকা ভূক্ত হয়েছে সাতক্ষীরার ক্রিসেন্ট নামের একটি এনজিও। তারাও চলতি বছরে এক দিনও কোন প্রশিক্ষণ প্রদান করেননি কোন ইউনিয়নে। ক্রিসেন্ট নামক এনজিও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে প্রশিক্ষণ সিডিউল জমা দিয়েছে সে মোতাবেক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে যেয়ে সেই ভেন্যুতে কোন ভাতা ভোগী প্রশিক্ষনার্থীকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি কোন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গত দুই বছর এই প্রশিক্ষণের বিষয় জানেন না, কোন এনজিও ভাতা ভোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব প্রাপ্ত উন্নয়ন পরিষদের পরিচালক আ: সালামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলার সময় নাই বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ২০২১-২২ অর্থ বছরের দায়িত্ব প্রাপ্ত ক্রিেেসেন্টর পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিকের কাছে মুঠোফোনে প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রশিক্ষণের জন্য আমার কর্মি নিয়োগ দেওয়া আছে, যদি প্রশিক্ষণ কোথাও না দেয় তাহলে এখন থেকে সে বিষয় গুলো তদারকি করা হবে।

এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, করোনার কারণে গত বছর প্রশিক্ষণ হয়েছি কিনা আমার জানা নাই। তবে এ বছর ক্রিসেন্ট নামক একটি এনজিও প্রশিক্ষণ সিডিউল জমা দিয়ে গেছে। এই বলে অফিসের সিডিউল দেখে ঐ দিনের প্রশিক্ষণ ভেন্যু গুলোতে ফোন দিয়ে দেখেন সেখানে কোন প্রশিক্ষণ হচ্ছে না। তবে ওদেরকে প্রশিক্ষণের বিষয়ে বলা হবে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা উপ-পরিচালক এ,কে,এম শফিউল আজমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এনজিও গুলো আমাদের মাধ্যমে চুক্তি বদ্ধ না হওয়ার কারণে আমাদের কাছে জবাব দিহিতাও করতে চাই না। তাছাড়া আমাদের তদারকি করার মত কোন যানবাহনের ব্যবস্থা না থাকায় আমরাও সে ভাবে তদারকি করতে পারি না। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, যেহেতু এ বিষয়ে আমি অবগত নয়, আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। আমি সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে জানার জন্য আমার দপ্তরে আসতে বলেছি। যদি তারা প্রশিক্ষণ না দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: