শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

আজ বিশ্ব প্রবীণ দিবস

আজ ২১ আগস্ট, বিশ্ব প্রবীণ দিবস। বিশ্বেজুড়ে পালন করা হয় দিনটি। প্রবীণ মানুষের বিষয়গুলোকে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে এবং জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটি পালন করা হয়। এছাড়াও এই দিনটি পালনের আরও কিছু উদ্দেশ্যও রয়েছে। এই দিনে প্রবীণ নাগরিকদের সম্মান জানানো উচিত, তাদের আত্মত্যাগ, উৎসর্গ, কৃতিত্ব এবং তারা সারা জীবন যে পরিষেবা দিয়েছেন, তার জন্য। এই দিনটি তাদের কৃতকর্মের প্রশংসা পাওয়ার দিনও বলা যেতে পারে।

যে কোনও সমাজের জন্য অবশ্যই প্রবীণ নাগরিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে কোনও সমাজ তার প্রবীণ নাগরিকদের থেকে জ্ঞান অর্জন করে এবং এগিয়ে চলে। আমরা যে বিশ্বে বাস করি, তা নির্মাণে প্রবীণ মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের সেই অবদানকে সম্মান করতে শিখতে হবে।

এই দিনটি জনগণ এবং সরকারকে কল্যাণের জন্য কাজ করার এবং প্রবীণ নাগরিকদের সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের সমাজের প্রবীণরা তাদের বয়সের কারণে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হন, তা তরুণদের দ্বারা স্বীকার করা এবং সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার একটি প্রচেষ্টাও এই দিনের অঙ্গ।

চলুন দেখে নেয়া যাক, বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসের ইতিহাস : ‘ওয়ার্ল্ড সিনিয়র সিটিজেনস ডে’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রিগ্যান। তিনি ১৯ আগস্ট, ১৯৮৮-তে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে এই দিনটির স্বীকৃতি দেন। ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২১ আগস্টকে বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস হিসাবে পালন করার ঘোষণা করে।

সে সময় এ প্রসঙ্গে রোনাল্ড রিগ্যান বলেছিলেন, “আমাদের প্রবীণ নাগরিকরা সারাজীবনে যা অর্জন করেছেন এবং তারা যা করে চলেছেন, তার জন্য আমরা তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।” তার পর থেকেই এই দিনটি পৃথিবী জুড়ে পালন করা হচ্ছে।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: