রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

সানুজ্জামান সোহাগ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবর আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন- আসন্ন ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য কলারোয়া উপজেলার ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আসলামুল আলম (আসলাম) একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তার নামে বহুদুর্নীতি অনিয়ম, টাকা পয়সা আত্মসাৎ এবং দখলবাজির মামলা রয়েছে। বিগত ২৩ শে অক্টোবর ২০২১ তারিখে আসলামের নামে বিভিন্ন ভাতার টাকা আত্মসাতের কারণে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে কলাটুপি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের ছেলের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীর চাকুরী দেওয়ার নামে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। পানিকাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন চাকুরী হতে পদত্যাগ করিলে ১৩মাসের টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করে। তার বিরুদ্ধে এ ঘটনায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য রুমি খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৭৬/২০২০। চেয়ারম্যান আসলাম নিজেকে আওয়ামীলীগ দাবি করলেও একজন স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য। তার ভাই ইমাম হোসেন খান নাশকতা মামলার আসামী হয়ে গত ১০ই ডিসেম্বর ২০১৫ সালে বিস্ফোরকদ্রব্য চার্জশীট ভুক্ত আসামী। ইমাম কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। ভাই চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে ২০১৩ সালে ১২ই ডিসেম্বও রাতে কাদের মোল্যার ফাঁসি দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শাকদাহ বাজারে আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উল্লাস প্রকাশ করে। শুধু তাই নয় সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে পদদলিত করে। ওই সময় প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা নেদু গাজী ও ইশারত সরদারকে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত করে। চেয়ারম্যান আসলাম টিআর কাবিখা, কাবিটা বিধবা বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে বিলাস বহুল মার্কেট নির্মান করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে কলারোয়া উপজেলা খাদ্যগুদামের নিকটে কোটি টাকা দিয়ে একটি আলিশান বাড়ি কিনেছেন এবং গ্রামের বাড়ীতে কোটি টাকা ব্যয় করে আধুনিক বাড়ি নির্মান করেছেন। এছাড়া নামে বেনামে অনেক ব্যাংকে টাকা জমা করেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ১৪টি প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনায় এলাকাবাসী স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় এর সচিব বরাবর লিখিত ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে একজন দরিদ্র আওয়ামীলীগ কর্মী হিসাবে দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের কবল থেকে টাকা ফেরত ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন প্রসাশনিক কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: