শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

কলারোয়ায়-পরকীয়ায়-আপত্তিক

এক বছর ধরে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক, অতঃপর বিয়ে৷ এখন ৪ বছরের সাংসারিক জীবনে তিন বছর বয়সী তাবিয়া নামের ছোট্ট এক কন্যা সন্তান রয়েছে৷ কিন্তু সুখের সংসারের আড়ালে সেই নারীর ফের অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়ায় ঘর ভাঙলো ট্রাকের হেল্পার জহিরুল ইসলামের৷প্রতিদিনের মত সে সন্ধায় ট্রাকে কাজের উদ্দেশ্য গেলেও কাজ না হওয়াতে মধ্যরাত ১টার দিকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে যুবকসহ হাতে নাতে ধরেন বলে জানিয়েছেন ওই নারীর স্বামী ট্রাক হেল্পার জহিরুল ইসলাম৷পরে থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে নারী ও কামাল হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে আটক করে৷বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মীর খায়রুল কবীর৷তিনি বলেন, মধ্য রাতে নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় জনগণের হাতে আটক হওয়া ওই যুবক কামাল হোসেন (২৫) উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালী গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের ছেলে৷ সোনিয়া খাতুন (২২) রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত বাদল সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলামের স্ত্রী৷নারী ও যুবককে পরকিয়া সম্পর্কে আপত্তিকর অবস্থায় জনগণ আটক করলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে৷ পরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ২৯০ ধারা আইনে মামলায় আটককৃতদের সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে৷পরকীয়ায় জড়িত নারীর স্বামী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্পর্ক করে ৪ বছর বিয়ে হয়েছে। সংসারে তিন বছর বয়সী ছোট্ট এক কন্যা সন্তান আছে৷
মেয়ে হওয়ার পর থেকে স্ত্রীর আচরণ কেমন উদভ্রান্ত লাগতো। বাচ্চা ও পরিবারকেও সহ্য করতে পারতো না। কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়। এ সুযোগে স্ত্রী ওই যুবকের সাথে কথা বলে গোপনে বাড়িতে এনে রাত্রি যাপন করে বলে স্ত্রী ও যুবক স্বীকার করেছে। এমনকি তাদের এগার বছর যাবৎ সম্পর্ক।’তিনি আরো বলেন, ‘সেই সম্পর্কের কথা গোপন করে আমার সাথে অর্থের লোভে বিয়ে করে আমাকে এখন নিঃশ্ব করে ফেলেছে। সম্প্রতি স্ত্রী মরিয়া হয়ে উঠে মেয়ে ও আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল৷ হেল্পারি করে যা রোজগার করতাম স্ত্রী সোনিয়া গোপনে ওই যুবককে দিতো৷’স্ত্রী ও সংসার ভাঙ্গার মূল ব্যক্তি আটক হওয়া যুবক কামাল হোসেনের হুমকি থেকে পরীবারকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন তিনি৷স্থানীয় ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান জানান, ‘জহিরুল ইসলামের স্ত্রী সম্প্রতি পরিবারে অশান্তি করতো। এ নিয়ে কয়েকবার শালিস বিচার হয়েছে৷ কিন্তু পরকিয়া ছিল অন্যতম কারণ, সেটা এখন প্রকাশ পেয়েছে৷’তিনি এ ধরণের কাজ ও একটা পবিত্র সংসার ভাঙ্গার জন্য আপত্তিকর অবস্থায় আটককৃত যুবক ও স্ত্রী সোনিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন, যাতে এ ধরণের কাজ আর কোন ব্যাক্তি না করতে পারে।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: