সোমবার, মে ২০, ২০২৪

বন্দর দখল কান্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন এর বিরুদ্ধে “সংবাদ সন্মেলন” ও বিক্ষোভ মিছিল

মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-৮৫,যশোর-১ শার্শা আসনে নির্বাচনী প্রচারনার নামে বন্দর দখলবাজি করতে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে স্বতন্ত প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। পরে প্রশাসনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) সকালে বেনাপোল বন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর এহনো কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বন্দর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাধারণ শ্রমিকরা। প্রায় ৫(পাঁচ) হাজার লোকের সমাগম ঘটে ঐ মিছিলে। বিক্ষোভ মিছিলটি বন্দর এলাকা ছাড়িয়ে বেনাপোল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুণরায় বন্দরে এসে শেষ করে।

খবর পেয়ে শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার-নয়ন কুমার রাজবংশী,পুলিশ সুপার,যশোর এর ভারপ্রাপ্ত অফিসার-বেলাল হোসেন এবং শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ফারজানা ইসলাম, বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সুমন ভক্ত,শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান এবং পুলিশের এসআইবৃন্দ সহ পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে “সংবাদ সন্মেলণ” করে বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিক সংগঠন ৮৯১ এবং ৯২৫ এর শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন-বেনাপোল পৌর আ.লীগ সভাপতি- এনামুল হক মুকুল, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র এবং পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক-মোঃ নাসির উদ্দিন,সাবেক পৌর কাউন্সিলর-আহাদুজ্জামান বকুল।

সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন-৯২৫ শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক-অহিদুজ্জামান অহিদ। তাকে সহযোগীতা করেন-৯২৫ এর সভাপতি-রাজু আহম্মেদ,৮৯১ এর সভাপতি-আক্তারুজ্জামান,সাধারণ সম্পাদক-জাহাঙ্গীর আলম জানে।

সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-

“আপনারা ইতোমধ্যে অবগত আছেন যে, শার্শা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন, ফেসবুকে প্রকাশ্যে হাত কেটে নিবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে তিনি দলের লোক হয়ে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং ভোট চাওয়ার নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরকে অস্থির করার জন্য একধিকবার প্রচেষ্টা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে শ্রমিকদের কাছে ভোট চাওয়ার নামে পোর্ট দখল করতে আসে এবং শ্রমিকদের প্রতিরোধে ধাওয়া খায় । ধাওয়া খাওয়ার পর পড়ে যেয়ে আহত হয় তার সাথে থাকা কিছু দুস্কৃতিকারী।

আপনারা আরো অবগত আছেন, দলের বিপক্ষে যেয়ে আশরাফুল আলম লিটন এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করাই তার মূল লক্ষ্য। গত ০১/০৬/২০১৪ ইং সালে সন্ত্রাসী লিটন যশোর থেকে ও ঢাকা থেকে দুষ্কৃতিকারী নিয়ে পোর্ট দখল করতে আসে। ২০২২ ইং সালে ২৮ শে মার্চ এবং ২০২৩ ইং সালের ৪ই সেপ্টেম্বর পোর্ট দখল করতে আসে তার পোষ্য সন্ত্রাসীরা। কিন্তু প্রতিবারই খেটে খাওয়া পা ফাঁটা, হাতফাঁটা বন্দরের শ্রমিকদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ভাজন আমাদের প্রিয় নেতা আলহাজ্জ্ব শেখ আফিল উদ্দিন এর নেতৃত্বে বর্তমানে শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিকলীগ শান্তিপূর্ণভাবে বন্দরে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বর্তমান সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার। তাই ভোট চাওয়ার নাম করে পোর্ট দখল করতে এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা প্রশাসনের কাছে তার এই ভন্ডামী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা কামনা করছি”।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: