রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

শার্শায় কাঁচা রাস্তা পাকাকরণে উলোটপালোট, ইউপি সদস্য বললেন কিছুই করার নেই

জসিম উদ্দিন,স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের শার্শা উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের গ্রামীন একটি কাঁচা রাস্তা পাকা করণ নিয়ে ব্যাপক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে যে রাস্তাটি পাকাকরণ হওয়ার কথা সেটি না হয়ে অন্য একটি রাস্তা পাকাকরণ করায় জনদূর্ভোগ সহ নানান জটিলতা দেখা দিয়েছে রাস্তাটি নিয়ে।
জেলা পরিষদের অর্থায়নে এবং ডিহি ইউপি চেয়ারম্যানের সার্বিক তদারকিতে রাস্তাটি পাকাকরণ হলেও বরাদ্দকৃত রাস্তাটি কাঁচায় থেকে যায়। ফলে কিভাবে রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ উলোটপালোট হলো সে বিষয়ে কারোরই জানা নেই বলে জানান এলাকাবাসী। এ কারনে ডিহি ইউপি চেয়ারম্যানের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। কেউ কেউ বলেন এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাস্তা পাকাকরণের কাজে উলোটপালোট করেছে।

সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, তেবাড়িয়া গ্রামের সালামের বাড়ি হইতে আমজেদের বাড়ি পর্যন্ত ৩শ ৫০ ফুট কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের জন্য বরাদ্দ পাই ১ নং ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী।

কিন্তু ওই রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ না করে একই গ্রামের পলাশের বাড়ি থেকে রাকিবের বাড়ি পর্যন্ত মাত্র ১শ ফুট রাস্তা করে কাজটি শেষ করেন চেয়ারম্যান।

পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থের সবটুকুই প্রাক্কেলিত ব্যায় দেখান তিনি। রাস্তাটির প্রবেশ মুখে একটি নেম ফলক বসানো হয়েছে। যেখানে লেখা আছে সালামের বাড়ি হইতে আমজেদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ফ্লাট সলিং করণ।

প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ বাবদ ব্যায় দেখানো হয়েছে ১লক্ষ টাকা। অথচ যে রাস্তাটি পাকাকরণ বা সলিং হওয়ার কথা ছিলো সেটি এই রাস্তা থেকে অনেক বেশি কদাকার এবং নাজুক অবস্থা।

এলাকাবাসী নিয়ামত, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, মনোয়ারা বেগম সহ অনেকে জানান, একজায়গার বরাদ্দকৃত সরকারী কাজ অন্যজায়গায় কেমন করে করা হলো। এক এলাকার নেমফলক অন্য জায়গায় কিভাবে লাগানো যায়। চেয়ারম্যান হোসেন আলী তাহার নিজের স্বার্থের জন্য রাস্তা অদলবদল করেছেন।

বরাদ্দকৃত রাস্তা ও অর্থের সঠিক ব্যবহার করে সালামের বাড়ি হইতে আমজেদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি পাকাকরণ করার জন্য চেয়ারম্যান হোসেন আলীকে আহবান করেন ভুক্তভোগীরা। তারা বলেন আমরা রাস্তা পাকাকরণ চাই।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী এস, এম, মামুন হাসান বলেন, বরাদ্দকৃত রাস্তা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে করার কোন এখতিয়ার নেই। সেটি করতে হলে জেলা পরিষদের থেকে পরিবর্তন করে নিতে হবে।

১ নং ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী বলেন, সালামের বাড়ি হইতে আমজেদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি নিয়ে একটি মামলা ছিলো। সে কারনে জেলা পরিষদ আমাকে অন্য জায়গায় প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে রাস্তা পাকাকরণ করার জন্য বলে। সে কারনে ওই রাস্তাটির পরিবর্তে এই রাস্তাটি করা হয়েছে।

তবে রাস্তাটির নেমপ্লেট পরিবর্তন না করাটা ভূল হয়েছে। এবং এটি খুবই দৃষ্টিকটু। পরবর্তীতে ওই রাস্তাটির পাকাকরণ কাজের জন্য বরাদ্দ আসলে নেমপ্লেট পরিবর্তন করা হবে। এখন কিছুই করার নেই।

উল্লেখ্য: ২০১৭ সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা হয়। যেটি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মামলাটি খালাস হয়ে যায়।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: