রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

মন্দির ভাঙচুরে অভিযুক্ত পেলেন নৌকা, ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত হিন্দুদের

চেয়ারম্যান থাকাকালীন হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগে জেল খেটেছেন। তিনিই পেয়েছেন এবারের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন। ফলে ক্ষুদ্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

ঘটনাটি পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের। অভিযুক্ত ব্যক্তি ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পাঁচপাড়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালী মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয় মন্দির। এ ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় বেশ কিছুদিন জেল হাজতে ছিল শহিদুল ইসলাম।

এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে দূরত্ব তৈরি হয় শহিদুল ইসলামের। এবারের ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়নটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাকে। এতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে।

সিকদার মল্লিক পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু শেখর চন্দ্র মন্ডল জানান, যে আমাদের মন্দির ভেঙেছে তাকে ভোট দেওয়া সম্ভব না। আবার নৌকা প্রতীকের বাইরেও ভোট দিতে পারবো না। তাই এবার ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে, পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিকদার জানান, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মন্দির ভাঙার অভিযোগ শোনা গেলেও শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাকে মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম জানান, কালী মন্দির ভাঙা নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হয়েছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ভোট দিতে না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়নে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু লোক আছে যারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়েছে।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: