রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

কলারোয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

কলারোয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

কলারোয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মারুফ আহমেদ জনিকে (৩০) কুপিয়ে এবং পিটিয়ে যখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যখমকৃত ছাত্র লীগের সহ সভাপতি শেখ মারুফ আহমেদ জনির পিতা কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ মোসলেম আহমেদ জানিয়েছেন- আমার ছেলে সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের সমর্থনে নির্বাচন করে পরাজিত হওয়ার পর হতে বর্তমান বিদ্রোহী চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলেকে ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমানের মোবাইলে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। তিনি আরো বলেন- সেখানে নবাগত বিদ্রোহী চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান, রাসেল বিশ্বাস পিতা ফজলে বিশ্বাস, হাসানুর রহমান, পিতা বাবলু গাজী, জীবন বিশ্বাস, পিতা হাফিজুল ইসলাম বিশ্বাস, রফিকুল সরদার, পিতা মৃত ফজলে সরদার, উভয় গ্রাম বাঁটরা এবং বুইতা গ্রামের মো. হাবিবুল্লাহ, পিতা আশরাফ মোড়ল, চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দেখতে পায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই ওই ছাত্রলীগ নেতার উপরে ক্ষিপ্ত ছিল। পূর্ব পরিকল্পিত ছাত্রলীগ নেতা জনি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঢোকা মাত্রই চেয়ারম্যানের নির্দেশে রাসেল বিশ্বাস চেয়ারম্যান কার্যালয়ের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয় এবং তার কাছ থেকে ব্যবহৃত সামসাং কোম্পানীর ছাপান্ন হাজার টাকার মোবাইলটি রাসেল বিশ্বাস জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। এর পর উক্ত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগ নেতা জনিকে রশি দিয়ে দুই হাত পিট মোড়া দিয়ে বেঁধে ফেলে। চেয়ারম্যান নিশান জনিকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায় মাহফুজুর রহমান নিশান আমার ছেলর জনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো গাছি দা দিয়ে মাথায় কোপ মারে তাতে সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এক পর্যায়ে জনি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

এ ঘটনায় জালালাবাদ ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমান বলেন- আমার (০১৭৭৯৮৭৪৭২১ নং) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশান মারুফ আহমেদ জনিকে তার পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নেয়। তবে পরিষদের চাউল বিতরনকে নিয়ে কোন কিছু ঘটেনি। এ সময় চেয়ারম্যান কার্যালয়ে উপস্থিত ছিল, এবং কিছু ছেলে পেলে পূর্বেই সেখানে হাজির ছিল। মশিয়ার রহমান আরো বলেন- পরিষদে সংলগ্ন ব্যাডমিন্টন খেলা চলে মসজিদ পান্জেগানার মিটারের কারেন্ট দিয়ে। এটা নিয়ে পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ হলে সেটার অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য জনিকে পরিষদে ডাকা হয়।

কলারোয়া থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে যেয়ে জনিকে উদ্ধার করে। জনির স্বজনরা কলারোয়া হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করালে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির বলেন- মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনার ব্যাপারে আমি এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।

এব্যাপারে চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান নিশানের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তা রিসিভ হয়নি।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: