শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় বাবাকে হত্যা,ছেলের অবস্থা গুরুতর

যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর বাঁশ তলা সমিল এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে চিকিৎসকের প্রাইভেটকার চালক আব্দুল কুদ্দুস (৪৬) নিহত ও তার ছেলে বিপ্লব হোসেন (২৭) গুরুতর জখম হয়েছেন। পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে তর্কবিতর্কের জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা রোড বাঁশতলা সমিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল কুদ্দুস নওদা গ্রামের বিহারী ক্যাম্প এলাকার কাটি খানের ছেলে। আহত বিপ্লব যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত বিপ্লব ও নিহতের স্ত্রী বালিকা খাতুন বলেছেন, ঢাকা রোড এলাকার বাসিন্দা সেলিম হোসেনের কাছে কয়েকমাস আগে বাকিতে ৪০ হাজার টাকায় গহনা বিক্রি করেন বিপ্লবের স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন। কিন্তু টাকা পরিশোধে টালবাহানা করতে থাকে সেলিম। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আব্দুল কুদ্দুস ও ছেলে বিপ্লব পাওনা টাকা চাইতে সেলিমের বাড়িতে যান।টাকা চাওয়ায় সেলিম তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এসময় উভয়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই বাড়ি থেকে রাস্তার পাশের সমিলের সামনে আসলেই দেনাদার সেলিম ও লিচু বাগান এলাকার সম্রাট দু’জনের ওপর হামলা চালায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা বাবা-ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা তাদের দুইজনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. আব্দুর রশিদ জানান, বাবা-ছেলেকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টার দিকে একজন মারা যান।

যশোর সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রহিম মোড়ল জানিয়েছেন, আব্দুল কুদ্দুসের বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফুসফুস ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।তিনি আরও জানান, নিহতের ছেলে বিপ্লবের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর। ২৪ ঘণ্টা পার না হলে কিছু বলা সম্ভব নয়।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আবু হেনা মিলন বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে জানা গেছে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে গোলযোগের সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত-ছেলে আহত হয়েছে। হামলাকারী সেলিম ও সম্রাটকে গ্রেফফার করার অভিযান অব্যাহত আছে।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: