সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে ইন্দিরার নাম না নেওয়ায় ক্ষোভ

বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম না নেওয়ায় ক্ষমতাসীন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

উত্তরাখন্ডের রাজধানী দেরাদুনে বৃহস্পতিবার ‘বিজয় সম্মান সমাবেশ’-এ রাহুল বললেন, দিল্লিতে বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ইন্দিরা গান্ধীর নাম উল্লেখ ছিল না। যে নারী এই দেশের জন্য ৩২টি বুলেট খেয়েছিলেন, তার নাম আমন্ত্রণপত্রে ছিল না, কারণ সত্যকে ভয় পায় মোদি সরকার। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় ক্ষমতায় কংগ্রেস প্রধান ছিলেন ইন্দিরা। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

রাহুল গান্ধী বলেন, এ অনুভূতি কেমন তা বোঝানো যাবে না। যে পরিবারগুলো দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেনি তারা এটা অনুভব করতে পারবে না।

‘বিদ্বেষবাদী’ বিজেপি সরকার ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলতেই এমনটা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

প্রিয়াঙ্কা এক টুইট বার্তায় বলেন, আমাদের প্রথম এবং একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বিদ্বেষবাদী বিজেপি সরকার পঞ্চাশ বছরের বিজয় দিবসের উৎসব অনুষ্ঠান থেকে বাদ দিয়েছে। এটি সেই দিন যেদিন তার নেতৃত্বে ভারত বিজয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিল আর বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। নরেন্দ্র মোদি জি… নারীরা আপনার নোংরামি বিশ্বাস করে না। আপনার পৃষ্ঠপোষকতামূলক মনোভাব অগ্রহণযোগ্য। এখন সময় এসেছে নারীদের তাদের প্রাপ্য দেওয়া শুরু করেন- বলেন প্রিয়াঙ্কা।

টুইটের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চারটি সাদাকালো ছবি পোস্ট করেছেন। যার মধ্যে একটি ছবিতে ইন্দিরা গান্ধী একজন আহত সৈনিকের সঙ্গে ও সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ ছাড়া অপর একটি ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাকে দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর আসনে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা গান্ধী অসাধারণ ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানীতে বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়। দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে বিজয় মশাল প্রজ্বলিত হয়। এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা খাতায় তিনি লেখেন, ‘সমগ্র জাতির পক্ষে আমি ১৯৭১ সালের বীর যোদ্ধাদের স্যালুট করছি। শৌর্য ও বীর্যের অতুলনীয় গাথা যাঁরা রচনা করেছেন, সেই বীর যোদ্ধাদের জন্য দেশের নাগরিকেরা গর্বিত।’



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: