শেষে উপজেলা অডিটরিয়ামে এসে মিলিত হয়।
শেষে উপজেলা অডিটরিয়ামে এসে মিলিত হয়।
মানবতার দৃষ্টান্ত……………….
পা না কেঁটে অপারেশনে সফলতা দেখালেন ডাঃ পলাশ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা কলারোয়ার রাজপুর গ্রামের হতদরিদ্র আরশাদ আলীর পুত্র সাগর হোসেন (১৬)। ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর নিজ বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইজিবাইকের মর্মান্তিক দূর্ঘটনার স্বীকার হলে তাকে প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলো তার অসহায় পরিবার। তখন সাগরের ডান পায়ের এ্যাঙ্কলেটের উপরিভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল শরীর থেকে। এধরনের মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা সেবা কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না থাকায় উপায়ন্তর না পেয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল আহত সাগরের পরিবার। সে মোতাবেক সাগর হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০সয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানকার অর্থোপেডিক বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তারগণ সাগরের ঝুলন্ত ডান পা কেঁটে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনিত হয়। সেই সিদ্ধান্তে সাগরের পরিবার রাজি না হলে সাগরকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরনের সুপারিশ করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পঙ্গুতে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা নেই সাগরের পরিবারের। সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা পরিবার লোক মারফত জানতে পারে কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাটের শহিদুল ইসলামের ছেলে ডাঃ মাহমুদুল হাসান পলাশের নাম। সাতক্ষীরা মেডিকেলের (অর্থোপেডিকস্ ও ট্রমা সার্জারী) পাশাপাশি তিনি প্রাকটিস করেন সাতক্ষীরা সিবি (চায়না বাংলা) হাসপাতালে। যশোর থেকে ঢাকা পঙ্গুতে না নিয়ে সাগরকে নেওয়া হলো সিবি হাসপাতালে ডাঃ মাহমুদুল হাসান পলাশের কাছে। অসহায় পরিবারের আর্তনাদে সাগরকে অপারেশন করে সফল হলেন ডাঃ পলাশ। নাম মাত্র কিছু খরচের টাকা সিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিলেন সাগরের পরিবার। নিজের পারিশ্রমিক না নিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত হলেন এবং সেই সাথে চিকিৎসক হিসাবে আরো একধাপ এগিয়ে গেলেন এই উদীয়মান প্রীতিভাবাপন্ন ডা. পলাশ। প্রায় ১ বছর চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ্য হয়ে মিষ্টি নিয়ে হাজির হলেন ডাঃ পলাশ পক্ষ এর পারিবারিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কলারোয়ার হাসপাতাল রোডের “ই ল্যাব এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আনন্দে উচ্ছ্বসিত সাগর ও তার পরিবার ডাঃ পলাশসহ উপস্থিত সকলকেই মিষ্টি মুখ করিয়ে ডাঃ পলাশের জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া করে দিলেন। এই অসহায় পরিবারের দোয়ার বরকতে ডাক্তার পলাশ’রা পেশাদারিত্বের শিখরে অবস্থান করে মানুষের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
Comments are Closed