সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে: স্বাস্থ্যসচিব

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোগীদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬ জনের চিকিৎসা চলছে। ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে ২১ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ৪ জনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ১৫ জনের চিকিৎসা চলছে। দুই জনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, আহতদের মধ্যে ৩২ জনের চিকিৎসা চলছে বরিশালে। ৭ সদস্যের চিকিৎসক টিম পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন। আমরা মনিটরিং করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আহতদের সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসার খরচ বহন করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থাও হাসপাতালের পক্ষ থেকে করা হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে।

ওই সময় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া ব্রিফিংয়ে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানান। পরে ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারজিয়া আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়ায়।

এদিকে, ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনার পর হাবিব খান নামে একজনের মৃত্যু হয়, যা নিয়ে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। মৃতদের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনা জেলার বাসিন্দা।

এদিকে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তার আগে সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: