শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

বেনাপোল বন্দরে খোলা আকাশের নিচে কোটি কোটি টাকার পণ্য:ক্ষতির মুখে আমদানিকারকরা

ডেস্ক রিপোর্ট: বেনাপোল স্থলবন্দর দেশের বৃহত্তম বন্দর। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ৪৫০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। তবে এ বন্দরে পর্যাপ্ত শেড/গুদাম না থাকায় আমদানিকৃত পণ্য খোলা আকাশের নিচে রাখা হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে আমদানি পণ্য রাখার কারণে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়ছে আমদানিকারকরা।

বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে সরকার প্রতিবছর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। এ বন্দরে ৪২টি শেড থাকলেও সংস্কারের কারণে ভেঙে ফেলা হয়েছে ১০টি শেড, আছে ৩২টি শেড। বন্দরে চারটি ওপেন ইয়ার্ড ও একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড রয়েছে। দুই বছর আগে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে দুই দেশের সরকার বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

আমদানি বাড়লেও সে তুলনায় বেনাপোল বন্দরে শেড/ গুদাম ও ইয়ার্ড তৈরি না করার কারণে আমদানিকৃত পণ্য খোলা মাঠে রাখতে হচ্ছে। আমদানিকৃত পণ্য খোলা আকাশের নিচে রাখায় পণ্য রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে একদিকে যেমন এর গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকরা। আর এসবের কারণে আমদানিকারকরা বেনাপোল ছেড়ে অন্য বন্দর দিয়ে আমদানি করছেন।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, রোদ-বৃষ্টিতে দিনের পর দিন খোলা আকাশের নীচে আমদানীকৃত পন্য নষ্ট হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা বাড়াতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আধুনিক চেকপোস্ট নির্মাণ করলেও বেনাপোল বন্দরকে করা হয়নি আধুনিকায়ন। এছাড়া দুটি এক্সপোর্ট শেড ও একটি ছাউনিযুক্ত ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড নির্মাণের দাবিও করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন বলেন, বেনাপোল স্থল বন্দরের মালামাল পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। সিসি ক্যামেরার জন্য দুই-তিন বছর ধরে অবহিত করার পরেও এখন স্থাপন করা হয়নি। আমদানিকৃত পণ্য বেশিরভাগ ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি হওয়াই খোলা আকাশের নিচে রাখার কারণে ধুলাবালি রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে, এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষের সুনজরে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।

বেনাপোল সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী আয়ুব হোসেন পক্ষী জানান, খোলা আকাশের নিচে আমদানিকৃত মোটরপার্টস,মেশিনারী, কেমিকেল পণ্য রোদ বৃষ্টিতে থাকার কারণে ডেলিভারি নেওয়ার সময় দেখা যায় পণ্যগুলো অনেকাংশে ড্যামেজ হয়ে গেছে, পরবর্তীতে আমদানিকারকের নিকট থেকে অনেক অভিযোগ আসে। সবচেয়ে বড় কথা বন্দরে প্রবেশের সময় ধুলাবালি ও কাঁদা মাটির জন্যে অনেক সময় কাজে বাধাগ্রস্ত হতে হয়।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: