শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

কলারোয়ায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার ৪বছর সাজা প্রাপ্ত আসামী ইয়াছিন আলী গ্রেফতার

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার ৪বছর সাজা প্রাপ্ত আসামী ইয়াছিন আলী গ্রেফতার

মোঃ ইমরান হোসেন নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামী ইয়াসিন আলী (৪২) কে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার রায়টা গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর জানান- ৪বছর ৬মাসের সাজা প্রাপ্ত আসামী ইয়াছিন আলীর নামে ৪টি মামলা রয়েছে। এসটিসি-২০৮/১৫, জিআর-২৫৯/১৪, এসটিসি-২০৭/১৫, এসটিসি-২০৮/১৫ মামলায় ৪বছর ৬মাসের সাজা, অনাদায়ে আরো ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ রয়েছে। উল্লেখ্য-উক্ত আসামী দীর্ঘ দিন যাবৎ পলাতক ছিলেন। সোমবার (৯আগস্ট) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ¦ মীর খায়রুল কবীর, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জেল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে থানার এসআই ইসমাইল হোসেন, এএসআই রফিকুল ইসলাম, এএসআই আনোয়ার হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় রায়টা গ্রামের মধ্যে থেকে ওই আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য- সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর পর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিন জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত অপর দুজন হলেন ৪ নম্বর পলাতক আসামি মো. আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু এবং রিপন। এছাড়া পলাতক আসামি যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি ৪৬ জন আসামির ৪ বছর থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আলোচিত এ মামলায় জেল হাজতে থাকা ৩৪ জন আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করে ২০১৪ সালে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রকিব ওরফে রাকিবুর রহমানের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট ওই আবেদন হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ৮ অক্টোবর রুলটি খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে আসামিপক্ষ। সবশেষ গত বছরের ২৪ নভেম্বর দায়ের করা মামলা বাতিল চেয়ে এক আসামি আবেদন করলে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনির। গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে কাঠগড়ায় থাকা ৩৪ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর। মামলায় ১৬ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন-আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, শেখ তামিম আজাদ মেরিন, মো. আব্দুর রকিব মোল্যা, মো. আক্তারুল ইসলাম, মো. আব্দুল মজিদ, মো. হাসান আলী, ময়না, মো. আব্দুস সাত্তার, তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, মো. জহুরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, অ্যাড. মো. আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, মো. আলতাফ হোসেন, শাহাবুদ্দিন, মো. সাহেব আলী, সিরাজুল ইসলাম, রকিব, ট্রলি শহীদুল, মো. মনিরুল ইসলাম, শেখ কামরুল ইসলাম, ইয়াছিন আলী, শেলী, শাহিনুর রহমান, দিদার মোড়ল, সোহাগ হোসেন, মাহাফুজুর মোল্লা, আব্দুল গফফার গাজী, রিঙ্কু, অ্যাড. মো. আব্দুস সামাদ, টাইগার খোকন ওরফে বেড়ে খোকন। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন-আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, ইয়াছিন আলী, রবিউল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রব, সঞ্জু, নাজমুল হোসেন, জাবিদ রায়হান লাকী, কনক, মো. মাহাফুজুর রহমান।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: