রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

এক সপ্তাহে ৪ কোটি শিশু পাবে কৃমির ওষুধ

আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৫তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলবে। আর এসময়ে পাঁচ থেকে ১৬ বছর বয়সী তিন ৯৪ লাখ ৩২ হাজারের বেশি শিশুকে টিকা খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ( ২১ অক্টোবর) কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অধীনে ফাইলোরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ১ লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক এবং ৩৩ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম চালানো হবে।

অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত দেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। যে কারণে কৃমির সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেক কমেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কৃমিনাশক কর্মসূচির আওতায় কৃমি সংক্রমণ শূন্যে নামিয়ে আনা হবে।

আগে আমরা গ্রামেগঞ্জে গেলে দেখতাম অনেক ছেলেমেয়েরা খালি পায়ে হাঁটছে, হাত-পা চিকন, পেটটা অনেক বড় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন এটা তেমন দেখা যায় না। কারণ আগে আমাদের দেশে স্যানিটেশনের অবস্থা ভালো ছিল না। এখন প্রায় শতভাগ বাড়িতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন। এখন পুকুরের পানি কেউ পান করে না। স্বাস্থ্যসেবাও মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।

তিনি বলেন, আগে ৮০ শতাংশ ছেলেমেয়ের কৃমির সংক্রমণে ভুগতো, এই কার্যক্রমের ফলে এখন তা ৮ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। এটা বিরাট অর্জন। আশা করি এভাবে কাজ করলে শূন্যে নেমে আসবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে শূন্য থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের সাত শতাংশ, পাঁচ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ৩২ শতাংশ, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১৫ শতাংশ, ২৫ থেকে ৪৪ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের পাঁচ শতাংশ এবং ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের চার শতাংশের কৃমির সংক্রমণ রয়েছে। কৃমির সংক্রমণ ঠেকাতে ২০০৫ সালে প্রথম এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে, বর্তমানে সারাদেশের ৬৪টি জেলায় এই কার্যক্রম চলছে।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: