রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুর ৪ জনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুর মধ্যে চার জন মারা গেছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চতুর্থ শিশুটি মারা যায়।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশরাফুল আলম এ তথ্য জানান।

এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ছেলে এবং দুপুর আড়াইটা ও বিকাল ৪টার দিকে দুটি মেয়েশিশু মারা যায়। পঞ্চম বাচ্চাটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাজিম উদ্দিন বলেন, বাচ্চাগুলোর ওজন কম। এ কারণে ঝুঁকিতে ছিল তারা। তাদের রাখার জন্য হাসপাতালে সে রকম আইসিইউ সাপোর্ট নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। বাচ্চাগুলোর বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো না। এ কারণে এখানে রেখেই চিকিৎসা দিতে চেয়েছেন। আইসিইউ সাপোর্ট ছাড়া শেষ বাচ্চাটিকেও বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হবে।

তিনি আরও জানান, পঞ্চম শিশুটিকে এখনও স্ক্যানো ওয়ার্ডে আলোর তাপে রাখা হয়েছে। তাকে অক্সিজেন দেওয়া আছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন সাদিয়া খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূ। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার দরিদ্র চা বিক্রেতা সোহেল রানার স্ত্রী।

সোহেল রানা জানান, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে নিতে পারিনি।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: