বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

রোগীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণের দায়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ।

রোগীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণের দায়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ।

রোগীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণের দায়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধিঃ-
আজ মনে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাসির বুকের উপর থেকে চাঁপা দেওয়া বড় পাথরটি সরে যাওয়ার মোটামুটি একটা ব্যবস্থা করলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কেননা বাঘের মত হুংকার ছাড়া ও নিজেদেরকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিভাবা, চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীদেরকে জিম্মি করে অর্থ আদায়কারীদের দিন হয়তো শেষ হলো আজ, উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন একটি জাতীয় পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি।

উল্লেখ্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকদের স্বেচ্ছাচারিতা, রোগীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ ও অনিয়মের অভিযোগে ৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে ছাঁটাই করেছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তবে স্বেচ্ছাসেবকদের অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আইপিএস চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সবাইকে ছাটাই করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমানের তথ্যে নিশ্চিত করেছে।

জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চার শিফটে মোট ৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবক রোগীদের সেবা দিয়ে আসছিলো। ছাঁটাইয়ের খবরে অনেক স্বেচ্ছাসেবকদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে সরকারি আইপিএস চুরির ঘটনা ঘটে চলতি মাসে। গতপরশু শনিবার বিষয়টি নজরে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চড়েচড়ে বসে। এরপরই শুরু হয় অনুসন্ধান। হাসপাতালজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পুলিশের তৎপরতায় ১ ঘন্টার মধ্যে ফেরত দিয়ে যায় আইপিএসটি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উজ্জ্বল নামে এক স্বেচ্ছাসেবক আইপিএসটি চুরি করেছিল। গত শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের তৎপরতায় ১ ঘন্টার মধ্যে ফেরত দিয়ে যায় উজ্জ্বল।

নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক জানান যে, আইপিএস চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমাদের ছাঁটাই করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

চিহ্নিত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক বাদে আমরা স্বেচ্ছায় স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করি। একজনের কারণে আমাদের সকলের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়া অন্যায়। তার সঙ্গে আরও দুজন ছিল বলে শোনা যাচ্ছে৷ তার নাম প্রকাশ করলেও বাকি দুজনের নাম প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এটা দুংখজনক।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমানের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, জরুরি বিভাগ থেকে আইপিএস টি উজ্জ্বল নামে এক স্বেচ্ছাসেবক চুরি করেছিল।

বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে পুলিশের হস্তক্ষেপে ১ ঘন্টার মধ্যে চুরি হওয়া আইপিএস টি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ
জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায়, মারমুখী হয়রানিমূলক আচরণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে সকল স্বেচ্ছাসেবকদের ছাঁটাই করা হয়েছে।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: