রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

বউকে ছাড়বেন, তবু গোঁফ কাটবেন না

বেনাপোল টিভি ডেক্স :
স্বামীর আশঙ্কা ঘুমের মধ্যে হয়তো স্ত্রী কেটে দিতে পারেন তার সাধের গোঁফখানা। বাড়িতে তাই কাঁচি প্রবেশ ‘নিষিদ্ধ’। এমন ঘটনা ঘটেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বর্ধমানে।

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা দাশরথী ভট্টাচার্য। বয়স ৬০ বছর। তার ওপর মুখে পেল্লাই সাইজের গোঁফ, যার এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তের দৈর্ঘ্য তিন ফুট! গৃহ শিক্ষকতার পাশাপাশি পুরোহিতের কাজও করে থাকেন দাশরথী। তার এই গোঁফের কারণে এলাকায় সকলেই চেনেন ‘গোঁফমাস্টার’ নামে।

দাশরথী ভট্টাচার্যের আশঙ্কা, হয়তো ঘুমের মাঝে তার সাধের গোঁফে কারও ‘কুনজর’ পড়তে পারে। কেউ কেটে দিতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে যত্নেলালিত গোঁফ। তিন ফুট দীর্ঘ সাধের গোঁফ নিয়ে খোশমেজাজে থাকেন ‘গোঁফমাস্টার’ দাশরথী ভট্টাচার্য।

দাশরথী জানান, তার এই গোঁফ রাখার শখ সেই ছোটবেলা থেকেই। তিনি বলেন, ‘যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি, তখন এক পুলিশ কর্মীর টাঙ্গি গোঁফ দেখেছিলাম। তখন থেকেই মনে মনে ঠিক করেছিলাম, আমিও ওই রকম গোঁফ রাখব। তারপর গোঁফ গজানো শুরু হলে আর হাত দেইনি। কিন্তু দু-একবার বাধ্য হয়ে গোঁফ কাটতে হয়েছিল আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়।’

অবিবাহিত থাকাকালীন দাশরথীর এই গোঁফ নিয়ে প্রতিবেশিরা হাসিঠাট্টা করলেও হেসে উড়িয়ে দিতেন। কিন্তু একটু চাপে পড়তে হয় বিয়ের পর। ‘গোঁফমাস্টার’ বলছেন, ‘প্রথম প্রথম আমার স্ত্রীকে স্থানীয় মহিলারা পরামর্শ দিতেন, গোঁফ কেটে দিতে। সেজন্য স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে মনোমালিন্য হতো।’

এদিকে, স্ত্রী রেণুকাদেবী বলছেন, ‘অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার স্বামী জানিয়ে দেন, তিনি আমাকে ছাড়বেন, তবু গোঁফ কাটবেন না। এ কথা শোনার পর রেণুকাদেবী খানিকটা বাধ্য হয়েই স্বামীর শখ মেনে নিয়েছেন।’

কিন্তু গোঁফ রাখতে হলে তার তো পরিচর্যা করতেই হয়। সেটাও তিনি করেন। তিন ফুটের গোঁফের পরিচর্যার জন্য দাশরথী ব্যবহার করেন সরিষার ও নারকেল তেল। এর বাইরে কোনো বাজারের তেল দেন না। তবে এখনো দাশরথীবাবু কিছুটা আশঙ্কায় থাকেন, যদি তার সহধর্মিণী কারও প্ররোচনায় পড়ে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর গোঁফে কাঁচি চালিয়ে দেন, তাই বাড়িতে তিনি কাঁচিই রাখতে দেন না।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: