সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে জায়েদরা, ছিলেন না কাঞ্চন প্যানেলের কেউ

নানা অভিযোগ আর নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দুই প্যানেলের বিভেদ যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। হয়েছে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও। এরই মধ্যে গতকাল রোববার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিজয়ীদের একাংশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তবে সেখানে ছিলেন না নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনসহ তাদের প্যানেলের কেউই।

বিষয়টি নিয়ে জায়েদ খান জানান, তারা নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য গিয়েছিলেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সহসভাপতি পদে বিজয়ী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের এক স্ট্যাটাসে। তিনি ফেসবুকে ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়েছেন- ‘নবনির্বাচিত শিল্পী সমিতির সদস্যবৃন্দ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাহেবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ।’

এতে তাদের বিভেদটিই যেন ফুটে উঠে। কারণ সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘নবনির্বাচিত শিল্পী সমিতি’ বাক্যটি। অথচ নেই সভাপতিসহ বাকি ১০ জন।

তাহলে কি ইলিয়াস কাঞ্চন প্যানেলের বিজয়ীদের পাশ কাটিয়ে এ সাক্ষাৎ- জানতে চাওয়া হয় নন্দিত এই নায়কের কাছে। দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তার ভাষ্য, ‘নবনির্বাচিতরা এখনও শপথগ্রহণ করেনি। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বও বুঝে নেয়নি। তাই নবনির্বাচিত সমিতি বলা ঠিক হবে না। ওরা ওদের (প্যানেল) মতো সাক্ষাৎ করেছে হয়তো। এখানে আমার বলার কিছু নেই। যেদিন দায়িত্বগ্রহণ করব, সেদিন থেকে সমিতির বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব।’

এদিকে, নির্বাচনের ঘটনায় গতকাল সবচেয়ে উত্তপ্ত ছিল এফডিসি। ভোটের দিন সেখানে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুনকে আজীবনের জন্য এফডিসিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, রোববার বিকেলেই ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন নিপুণ। পাশাপাশি কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস করা হয়। যেখানে ভোটে জায়েদ এবং এক পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশের বিষয়টি উঠে আসে।

ঘটনাটি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে জায়েদ বলেন, ‘এটা (স্কিনশট) সুপার এডিটেড। নইলে আমার কথোপকথনের অপর লোকের ছবি কোথায়?’

বিষয়টি হাস্যকর বলে মনে করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি জানান, যে পক্ষ কথা বলে, সে পক্ষের ছবি মেসেঞ্জারে ওঠে না। এটা তখনই উপস্থিত সাংবাদিকদের ধরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।



Comments are Closed

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: